শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
এক দফা দাবিতে নার্সদের পতাকা মিছিল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা বাড়ছে পদ্মার পানি, বন্যার আতঙ্ক রাজশাহীতে টেক্সটাইল করপোরেশন পরিদর্শন করলেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বিশ্বব্যাংক : পরিবেশ উপদেষ্টা “যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ঝটিকা সফর” স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের

২৪ দিনে সারা দেশে ১৫ স্থাপনাসহ ১৮৫ যানবাহনে আগুন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

গত ২৮ অক্টোবর হতে গতকাল ২০ নভেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত ২৪ দিনে উচ্ছৃঙ্খল জনতার দেওয়া আগুনে ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে, উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৩৪১টি ইউনিট ও ১৮৮৮ জন জনবলকে কাজ করতে হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২৪ দিনে গড়ে প্রায় ৫টি করে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আগুনের ঘটনা বেশি। উত্তরে বেশি মিরপুরে।

তালহা বিন জসিম বলেন, সারা দেশে ৩৪ জেলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এরমধ্যে বাকি ৩০টি জেলায় আগুন নেই। ৬০টি উপজেলায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ৪৩৫টি উপজেলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেনি। জেলা হিসেবে গাজীপুরে ও উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুন দেওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ২৪ দিনে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সারা দেশে মোট ১৯৭টি (যানবাহন ও স্থাপনাসহ) আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩১ অক্টোবর ১২টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর ২টি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর ৭টি, ১০ নভেম্বর ২টি, ১১ নভেম্বর ৭টি, ১২ নভেম্বর ৭টি, ১৩ নভেম্বর ৮টি, ১৪ নভেম্বর ৪টি, ১৫ নভেম্বর ৬টি, ১৬ নভেম্বর ৭টি, ১৮ নভেম্বর ৬টি, ১৯ নভেম্বর ১৩টি, ২০ নভেম্বর ৬টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এ অগ্নিকাণ্ডে ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পুড়ে যায়। যানবাহনের মধ্যে মোট বাস ১১৮টি, ট্রাক ২৬টি, কাভার্ড ভ্যান ১৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি, প্রাইভেটকার ২টি, মাইক্রোবাস ৩টি, পিকআপ ৩টি, সিএনজি ৩টি, ট্রেন ২টি, নছিমন ১টি, লেগুনা ৩টি, ফায়ার সার্ভিস এর পানিবাহী গাড়ি ১টি, পুলিশের গাড়ি ১টি, অ্যাম্বুলেন্স ১টি। স্থাপনার মধ্যে বিএনপি অফিস ৫টি, আওয়ামী লীগ অফিস ১টি, পুলিশ বক্স ১টি, কাউন্সিলর অফিস ১টি, বিদ্যুৎ অফিস ২টি, বাস কাউন্টার ১টি, শোরুমসহ ৪টি স্থাপনা পুড়ে যায়।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৯৫টি, ঢাকা বিভাগে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, রংপুর বিভাগে ৭টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২টি, সিলেট বিভাগে ১টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬০টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মিরপুরে এলাকায় সবচেয়ে আগুনের ঘটনা বেশি। মিরপুর এলাকায় ১৭টি, গুলিস্তানে ৯টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় ৭টি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় ৭টি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৭টি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় ৫টি, মোহাম্মদ ৪টি, বারিধারা ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৬টি, চট্টগ্রামে ১৪টি, বগুড়া ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ ৬টি, মানিকগঞ্জ ৪টি, ফরিদপুর ৪টি, লালমনিরহাট ৪টি, নাটোর ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বগুড়া সদর উপজেলায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। বগুড়া সদরে ৮টি, গাজীপুর সদরে ৬টি, নারায়ণগঞ্জ সদরে ৪টি, ফেনী সদরে ৩টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com